সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী
"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"একদিন ভালোবাসা বলল, 'তুই মাটি হবি, আমি হব ফুল।' সেইদিন থেকে মাটিতে যে ফুল মুখ রাখে, সেইখানে গড়ে ওঠে ভালোবাসার তাজমহল। তুমি দেখেছ কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"কে যে কার, কার যে কে
এটা বুঝতে বুঝতে
আমরা আপন থেকে পর হয়ে যাই!" সন্দীপ গোস্বামী
"নীতিশাস্ত্র বিমুখ কোনও মানুষ বা দেশ ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারে না। যদি হয়, তবে তা মিথ্যা, ছলনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অন্তর থেকে ভালোবাসতে শুরু করলে, জগৎসংসারের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটাই কৃষ্ণপ্রেমের জাদু।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায় তার কৃতজ্ঞতা বোধ, এটা কখনও অসম্মানের বিষয় নয়।" সন্দীপ গোস্বামী"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা এবং প্রেম এক নয়! হৃদয় কেন্দ্রিক আনন্দের উচ্ছ্বাসকে ভালোবাসা বলা যায়, যা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু প্রেম হল আত্মাস্থিত পরমানন্দের নীরব প্রবাহ, যা চিরস্থায়ী।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষ বিশ্বের দার্শনিক, আয়ুর্বেদিক, আধ্যাত্মিক এবং যোগ গুরু হিসাবে স্বীকৃত । শান্তিপ্রিয় ভারতবর্ষের প্রতি কেউ আঘাত হানলে সর্বশক্তিমানসহ সমগ্র জগৎ তার বিনাশ ঘটায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞান আমাদের বাঁচতে শেখায় এবং ধর্ম আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এইখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা ছাড়া মানুষের দান করবার মতো, নিজস্ব আর কিছু নেই। বাদবাকি সবকিছু প্রকৃতির দান।" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ষড়যন্ত্র যে নামকে মুছে ফেলতে চায়, প্রকৃতি সেই নামকে ততোধিক উজ্জ্বল করে তোলে!" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"শোন হে মানুষভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য, তাহার উপরে নাই।" সন্দীপ গোস্বামী"যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন, মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
No comments:
Post a Comment