SANDIP GOSWAMI's blog AMITY সন্দীপ গোস্বামীর ব্লগ সৌহার্দ্য
SANDIP GOSWAMI,NABADWIP, INDIA
Saturday, 1 November 2025
কেউ বলেনি...
আমার প্রিয় বন্ধু কবি, সাংবাদিক, নাট্যকার প্রয়াত দীপঙ্কর ভট্টাচার্যকে নিয়ে কবিতাটি লিখেছিলাম। আমি কবিতা লিখলে প্রথমে মা, তারপর কাছে পেলে বা ফোনে এই বন্ধুকে শোনাতাম । ও আমার কবিতা খুব ভালোবাসত এবং মন দিয়ে শুনত। ওর অভিব্যক্তি কবিতার মান নির্ণয় করে দিত। আমিও ওর ছন্দে লেখা সহজ কথায় গভীর কবিতা (বাণী) শুনতাম। ওর "কবিতা কোণ" পত্রিকায় আমার অনেক কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। এমন আন্তরিক প্রকৃত বন্ধুকে হারানো তীব্র যন্ত্রণা হয়ে বুকে বিঁধে থাকে...
Friday, 31 October 2025
❣️Memento of love ❣️ভালোবাসার স্মারক ❣️
🙏 Memento of love 🙏 Of the eleven founders of the Nabadwip Literary Society, four have passed away, and three are battling illness of body or mind. On that stage, only Mrityunjay-da, Anjan-da, Bikash-da and I remained. How merciless time can be. ❣️ভালোবাসার স্মারক ❣️ নবদ্বীপ সাহিত্য সমাজের ১১ জন প্রতিষ্ঠাতার মধ্যে ৪ জন প্রয়াত, ৩ জন শারীরিক বা মানসিক অসুস্থ! মঞ্চে ছিলাম মৃত্যুঞ্জয়দা, অঞ্জনদা, বিকাশদা এবং আমি! সময় কি নির্মম!
Wednesday, 15 October 2025
Sandip Goswami's poems in Wirld literature
Sandip Goswami's poems are in Bengali and world literature.
Family of Sandip Goswami
Here photos of Sandip Goswami's father Late Sudarson Goswami, Teacher, mother Late Anima Goswami, Teacher, wife Manika Goswami, Housewife, son Souhardya Goswami, Electronics Engineer, sister Sucheta Chakraborty and sister Late Utpala Goswami, nephew Subhadip Chakraborty, Pharmacist ❣️🙏❣️
Thursday, 9 October 2025
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন একশো সন্দীপনী Philosophy of Sandip Goswami
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন একশো সন্দীপনী
একশো সন্দীপনী (HUNDRED THOUGHTS)
- সন্দীপ গোস্বামী (SANDIP GOSWAMI)
১। একজন বৈজ্ঞানিক এবং একজন কবির মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো, দুজনেই সত্যান্বেষী ।
২। আপনি ছিলেন না, আছেন, থাকবেন না । তাই মুহূর্তকে উপভোগ করুন । নিজেকে মেলে দিন নিজের কাছে ।
৩। কারোর কাছে জবাব দিতে হবে না। নিজের কাছে জবাব দিন, আপনি সজীব বস্তু নাকি মানুষ।
৪। আপনার অন্তরে যে অন্য 'আমি ' আছেন তাঁকে খুঁজুন । তিনি ঈশ্বর, আল্লা, গড ।
৫। সম্পর্কের মতলব খুঁজুন । মতলবের সম্পর্ক গড়বেন না ।
৬। সমাজে বসবাস করলে সামাজিক হওয়া যায় না । সমাজকে যিনি ভালোবাসেন তিনি সামাজিক ।
৭। দেশ থেকে কী পেলাম, কী পেলাম না, এটা বিচার্য নয়। দেশকে কী দিলাম, কী দিলাম না, এটাই বিচার্য হওয়া উচিত ।
৮। ভারতবর্ষ মানে শুধু একটি দেশ নয় । চিরন্তন মানবিক দর্শন ।
৯। শুধু বহিরঙ্গে সাম্য নয়, অন্তরঙ্গে সাম্য চাই । সেই সাম্য সব বৈষম্য ঘোচাবে ।
১০। সমাজকে অসুস্থ করে কোন স্বার্থান্বেষী ভালো থাকতে পারে না । সত্যের কষ্ট থেকে মিথ্যার যন্ত্রণা যে কোটি কোটি গুণ তীব্র ।
১১। লাভক্ষতির হিসাব দিয়ে জীবনকে মাপতে যাবেন না । জীবন BALANCE SHEET নয় ।
১২। এই দুঃসময়ে যার নিন্দা বেশি হয়, সেই হয়ে ওঠে পপুলার ।
১৩। প্রশংসা করতে না পারলেও নিন্দা করবেন না । নিন্দায় চৈতন্যে ক্ষয়রোগ হয় ।
১৪। প্রতিবাদ করুন নিঃস্বার্থ হয়ে । নিজের স্বার্থের জন্য প্রতিবাদী হলে, একদিন আপনার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হবে ।
১৫। পরিবর্তন সবাই চায় । সেই পরিবর্তন যেন উত্তরণ হয় ।
১৬। জীবনটা সমুদ্রের মতো, যা দেবেন ষোল আনা ফেরত পাবেন ।
১৭। হাসি পেলে হাসুন, কান্না পেলে কাঁদুন, রেগে গেলে রাগুন, আনন্দে নাচুন । মুখোশহীন মানুষদের এটাই স্বভাব ।
১৮। রাজা উলঙ্গ হলে তাকে উলঙ্গ বলুন । রাজা পোশাক পরবেন ।
১৯। একটি পথভ্রষ্ট সমাজ, পথভ্রষ্ট রাজনীতিবিদ, শিক্ষক, চিকিৎসক ইত্যাদি যোগান দেয় । সব দায় কি সমাজের নয়!
২০। জীবনের জন্য অর্থ । অর্থের জীবনকে উৎসর্গ করা কি ঠিক!
২১। বড় মনের মানুষ শুধু বড় কবি, লেখক, শিল্পী হন না । তিনি বড় মানুষ হয়ে ওঠেন । এটাই পরম প্রাপ্তি ।
২২। অন্যের প্রসিদ্ধিতে যদি হিংসা করেন তবে তার দুঃখে দুঃখিত হন, শোকে শোকাহত । তবেই তো হিংসা করা মানায় ।
২৩। ভোগবাদ মানুষকে ডাইনোসর বানায় । যুগকে জুরাসিক ।
২৪। সন্তানকে কত সম্পদ দিতে পারলেন সেটা কোন বড় ব্যাপার নয়, তাকে সংস্কার দিন । কুপ্রভাব মুক্ত সংস্কার । সংস্কার অমূল্য সম্পদ ।
২৫। মানুষের ধর্ম মনুষ্যত্ব । সব ধর্ম সেই শিক্ষা দেয় ।
২৬। জ্ঞানীকে সম্মান দিলে জ্ঞানী হবেন, ধনীকে সম্মান দিলে ঠকবেন, গরিবকে সম্মান দিলে ইতিহাস হয়ে যাবেন ।
২৭। সম্মান যে পায় সে ভাগ্যবান, কিন্তু সম্মান যিনি দেন তিনি নিশ্চিত ভগবান । ইতিবাচক ভাবনা সম্মান দিতে শেখায় ।
২৮। বিষয়-সুখ যদি আপনার নিজস্ব হয়, তবে বিষয়-বিষ নিজের ভিতর রাখুন। সমাজে ছড়িয়ে সমাজ বিষাক্ত করবেন না।
২৯। নিচু মনের মানুষেরা কোনও ভালো কাজ করতে পারে না। ভালো মানুষেরা ভালো কাজের উপযুক্ত।
৩০। ভালো মানুষকে সবাই বিশ্বাস করে, শ্রদ্ধা করে, এমনকি মন্দ লোকেরাও । কিন্তু মন্দ লোককে মন্দ লোকেরাও ঘৃণা করে ।
৩১। যে মন্দ তাকে সবাই চেনে । ওপেন সিক্রেট ।
৩২। গঙ্গানদী সবার । ঘটিতে ভরলে আমার ।
৩৩। আর কত মুখোশ লাগাবেন, যেদিন মুখোশ খসে পড়বে নিজেকে চিনতে পারবেন তো!
৩৪। বিশ্বাস হারানো পাপ । কিন্তু বিশ্বাসঘাতককে বিশ্বাস করা মহাপাপ ।
৩৫। নিজের সন্তানকে দুধে-ভাতে রাখতে চেয়ে, অন্যের সন্তানকে গরু বানাবেন না ।
৩৬। অন্যের সন্তানকে যেদিন নিজের সন্তান ভাবতে পারবেন, সে'দিন আপনার সন্তান মানুষ হবে । আপনি পিতৃদেব ভবঃ ।
৩৭। শিক্ষকতা শুধু বৃত্তি নয়, আচার্যদেব হয়ে ওঠার সাধনা ।
৩৮। অশিক্ষিতের চেয়ে অর্ধ -শিক্ষিত, কু -শিক্ষিতরা সমাজে অনেক বেশি ক্ষতিকর ।
৩৯। নিরক্ষরতা ব্যক্তির অপমান নয়, সমগ্র সমাজ ব্যবস্থার অপমান ।
৪০। শিশু-শ্রমিক সমস্যা বিজ্ঞাপনে দূর হয় না। বিজ্ঞবোধে এই সমস্যার সমাধান ।
৪১। মানবিকের বিপরীত অমানবিক হারিয়ে পারমাণবিক হয়ে উঠেছে । মানববোমা এই বোধের ফসল ।
৪২। কুসন্তান কখনও সুপিতা বা সুমাতা হতে পারে না ।
৪৩। বৃদ্ধরা সমাজের সম্পদ । বৃদ্ধাবাসে না রেখে তাঁদের নিজের ঘরে রাখুন । বাড়ি গৃহ হয়ে উঠবে ।
৪৪। একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে অণু পরিবার রমরমা। পরমাণু পরিবার শুরু হয়েছে। আধুনিক মানুষ হয়ে উঠছে 'একমেবানাত্মীয়' ।
৪৫। ধর্ম মানুষকে মানব করে তোলে । কিন্তু ধর্ম-ব্যবসায়ীরা মানুষকে সাম্প্রদায়িক করে দেয় ।
৪৬। অন্যের হৃদয়ে বিশ্বাস নষ্ট করে আবার সেই বিশ্বাস ফেরানো শৈশব ফেরানোর মতো অসম্ভব ।
৪৭। মায়ের চেয়ে যে বেশি ভালোবাসে, সে ডাইনি । পিতার চেয়ে যে বেশি শুভাকাঙ্ক্ষী, সে ডাইনোসর।
৪৮। আকাশের দিকে তাকান, আকাশ আপনার দিকে তাকিয়ে থাকবে । নদীর কাছে কান পাতুন, নদী আপনার সাথে কথা বলবে । মানুষকে প্রকৃত ভালবাসুন, মানুষ আপনাকে ঠিক ভালবাসবে ।
৪৯। যিনি নাট্যচর্চা করেন তিনি লোক শিক্ষক । ইতিহাসের বুকে তাঁদের আসন চিরস্থির ।
৫০। যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন, মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন ।
৫১। ভালোকে আবিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগে । জুহুরী যে অপ্রতুল ।
৫২। অযথা এদিক - ওদিক না ঘুরে জুহুরীর কাছে যান । তখন বুঝতে পারবেন আপনি কাঁচ নাকি হীরা ।
৫৩। সম্পাদকের সাধনা সর্বেসর্বা হয়ে ওঠা নয়, সবার প্রিয় হয়ে ওঠা ।
৫৪। সাংবাদিকের ধর্ম সত্যের পক্ষে জনমত তৈরি করা । বিশুদ্ধ মানবিকতা ।
৫৫। মনুষ্যের পাশবিক সত্তার বলি যেখানে ধর্ম, সেখানে নিরীহ পশুর হত্যা কি অধর্ম নয়!
৫৬। কালো মেয়েকে যিনি বধূ বা পুত্রবধূ রূপে গ্রহণ করতে পারেন, কালীপূজায় তিনি সিদ্ধিলাভ করেন ।
৫৭। একটি গাছ যে উপকার করে, লাখো মানুষ মিলে সেই উপকার করতে পারে না । মানুষের থেকে বৃক্ষ বেশি আপনজন ।
৫৮। পিতার বন্ধু পিতৃসম, মাতার বন্ধু মাতৃসম, নিজের বন্ধু আত্মসম । সৌহার্দ্যের মধ্যে আছে সমগ্রতা ।
৫৯। একটি জাতি গড়ে ওঠে জাত্যভিমানে । তখন ধ্বনিত হয় এক জাতি, এক দেশ, এক প্রাণ ।
৬০। ধর্মহীন ধর্মীয় বাতাবরণে কর্মহীন কামুক মানুষের ভিড়ে ঈশ্বর থাকতে পারেন না । তাঁর সিংহাসন আমাদের অন্তরে ।
৬১। এই দুনিয়ায় প্রকৃত নাস্তিক নেই । প্রত্যেকের মধ্যে সুপ্ত আস্তিকতা প্রকট । প্রকৃত নাস্তিক ঈশ্বরের সমতুল্য ।
৬২। প্রকৃত ঈশ্বর বিশ্বাস মানুষকে শুদ্ধ করে তোলে । সেই বিশুদ্ধ মানুষ সর্বত্র ঈশ্বরকে দেখতে পান ।
৬৩। বর্তমান সময়ে ডিগ্রি ধারীর পূজা চলছে । ডিগ্রি তো তাপমাত্রার পরিচয় । আলোর উৎস প্রকৃত বিদ্বান মানুষেরা ।
৬৪। বুদ্ধিজীবী নয়, প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষের বড় প্রয়োজন ।
৬৫। বই পড়লে জ্ঞান হয় । সেই জ্ঞান আত্মশুদ্ধি ঘটায় । আত্মশুদ্ধি মহৎ কর্মে প্রেরণা যোগায় । গ্রন্থ না পড়লে মহৎ কর্ম করা খুব কঠিন ।
৬৬। লিটল ম্যাগাজিনের কোন সংখ্যা সাধারণ নয়। সব সংখ্যাই বিশেষ পুনর্জন্ম সংখ্যা ।
৬৭। প্রকৃত শিল্পী আত্মা দ্বারা আত্মাকে আত্মাতে দেখে আত্মমুক্তির পথ খুঁজে পান ।
৬৮। যে কবি যৌনতাকে শারীরিক প্রভাব কাটিয়ে আত্মিক বা নৈসর্গিক করে তুলতে পারেন, তিনি হবেন যৌনতা বিষয়ক কবিতা রচনার অধিকারী ।
৬৯। আজও ভারতীয় নারীরা সহস্রাব্দ অতিক্রান্ত ভারতীয় সংস্কৃতির গুপ্তধনে সিদ্ধ । তাই তাঁদের সাহিত্য- সংস্কৃতিতে মানবিক বোধের পরিচয় স্পষ্ট ।
৭০। শ্রোতার নজর গায়ক, গায়কের নজর তবলাবাদক, এই নজরে সব রহস্য লুকিয়ে আছে ।
৭১। হাজার কবিতা - লেখকদের চেয়ে একজন নিবিষ্ট পাঠক কবিতার জগতে অনেক বেশি অক্সিজেন যোগান । প্রকৃত কবিতা-প্রেমী কবিতা এবং কবির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ।
৭২। সাধারণ মানুষ যখন কাঁদেন, ঈশ্বর স্থির। কবি যখন কাঁদেন, ঈশ্বর প্রলয় ডেকে আনেন।
৭৩। যখন কৃষক কাস্তে ছেড়ে অস্ত্র ধরে, শ্রমিক হাতুড়ি ছেড়ে বোম । তখন বুঝতে হবে সমাজে বৈষম্য চরম ।
৭৪। সব মতবাদ মহান । যতক্ষণ মতবাদী মতলবি না হয়ে ওঠেন ।
৭৫। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন মতাবলম্বীদের মধ্যে মিল কোথায় বলুন তো! এরা ধৃতরাষ্ট্রের যমজ সন্তান ।
৭৬। রক্তক্ষয়ী কোনও বিপ্লব সমাজে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে নি । একমাত্র চেতনায় বিপ্লব সমাজে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
৭৭। রাজনীতির অর্থ বদলে যাচ্ছে। প্রাচীনযুগে নীতির রাজা রাজনীতি, মধ্যযুগে রাজার নীতি রাজনীতি, বর্তমানে রাজ করার নীতি রাজনীতি।
৭৮। নেতাদের ক্ষমতা দখলের পিছনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, বিশেষভাবে গরিব মানুষ ।
৭৯। রাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র, ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র প্রভৃতি তন্ত্র থেকে তামসিক তান্ত্রিকদের সৃষ্টি হয়, সেই তান্ত্রিকরা খড়গ হাতে নরবলিতে সিদ্ধ হয়ে ওঠে।
৮০। কবিতার শহর কলকাতা। কবিদের দেশ নদীয়া ।
৮১। মান আর হুঁশ যার মধ্যে থাকে, তিনি মানুষ। এখন মানি (অর্থ) এবং হুঁশিয়ারি যার বেশি থাকে, সেই ক্ষমতাবান মানুষ।
৮২। যে নিজের বা অপরের দেহ হত্যা করে তাকে দেহ - হত্যাকারী বলা যায় । কিন্তু যে নিজের বা অপরের বিবেক, মনুষ্যত্ব, মূল্যবোধ, সততাকে হত্যা করে তাকেই আত্ম -হত্যাকারী বলা উচিত । এই হত্যাই আত্মহত্যা ।
৮৩। 'নিরপেক্ষ ' শব্দের ব্যঞ্জনা ও কার্যকারিতা প্রায় লুপ্ত । তাই সত্যের পক্ষে সরব হন এবং নিজেকে গড়ে তুলুন ।
৮৪। শিশুর মধ্যে ভগবান আছেন। কারণ শিশুরা ভগবানকে নিজের মনে করে। সংকোচহীন ভাগ্যবান মানুষ ভগবানের সান্নিধ্য লাভ করেন।
৮৫। দেশবাসীর অর্থ নিয়ে যারা দেশের কাজ করেন, তাদের কোন ইউনিয়ন থাকা উচিত নয় । যে সব ইউনিয়ন আছে সেগুলি দেশের কোনও উপকার করে না বরং দেশবাসীদের শোষণ করে ।
৮৬। অনেকে বলেন, ভারতবর্ষের গণতন্ত্র অশিক্ষার কারণে কার্যকারী হয়ে উঠতে পারছে না । কিন্তু ভোট ব্যবস্থায় শিক্ষিত লোকেরাই তো দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করেন । তারা কেন সৎ, দেশভক্ত, মূল্যবোধ সম্পন্ন মানবিক প্রার্থী নির্বাচন করছেন না!
৮৭। অফুরন্ত মদ্যপান প্রমাণ করে এক শ্রেণির মানুষের হাতে প্রচুর অর্থ থাকলেও শান্তি নেই ।
৮৮। বর্তমান সময়ে মদ্যপান মহামারির আকার নিয়েছে । মাদকাসক্ত পিতা-মাতার অ্যালকোহলিক সন্তানে বিশ্ব পূর্ণ হতে আর দেরি নেই!
৮৯। ধূমপান করুন, একদম ছাড়বেন না । একদিন ও-ই গুডবাই জানাবে!
৯০। আপনি যদি সুন্দর হয়ে ওঠেন, তাহলে আপনার পরিবার সুন্দর হবে, সমাজ সুন্দর হবে, রাষ্ট্র সুন্দর হবে, সমগ্র বিশ্ব সুন্দর হয়ে উঠবে । তাই নিজে সুন্দর হয়ে উঠুন ।
৯১। মিছিলে যদি নেতাকে চেনা যায়, তবে সেই মিছিল শক্তি হারায় ।
৯২। বছরে কমপক্ষে সাতদিন গৃহত্যাগ করুন । মন সজীব হয়ে উঠবে ।
৯৩। দান করলে অর্থ কমে, মান বাড়ে । মানি থেকে মান অনেক দামি ।
৯৪। ভাগ্যের সহায় যদি কিছু পান, সেটি সযত্নে লুকিয়ে রাখুন। কর্মের সহায় যদি কিছু পান, তবে উদার মনে বিলিয়ে যান। আরও বেশি ফেরত পাবেন ।
৯৫। শিল্পী যদি মার্কেট ধরেন, মার্কেট তাকে ছাড়বে না। শিল্প উধাও।
৯৬। কেউ যদি আপনার দিকে তাকিয়ে না হাসে, তাহলে একা একা হাসুন । প্রকৃতি আপনার সাথে হাসবে ।
৯৭। আমার জিনিস দান করা যায় কিন্তু আমাদের জিনিস অর্জন করতে হয় ।
৯৮। মহাকালের বিচারে সেই লেখা উত্তীর্ণ হয়, যার মধ্যে উত্তরণ আছে । উত্তরণের পথ তিনি দেখাতে পারেন, যিনি সেই পথে হাঁটছেন । বৃহৎ এবং শক্তিশালী মনের মানুষ না হলে কোনও লেখক কী সেই পথ পাড়ি দিতে পারেন!
৯৯। একদিন সেই সূর্য উঠবে । যার চৈতন্যময় আলোকে চারিদিক আলোকিত হবে । আমরা সেই আলোর প্রত্যাশী ।
১০০। স্বপ্ন দেখুন, স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।i
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী Philosophy of Sandip Goswami
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী
"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"একদিন ভালোবাসা বলল, 'তুই মাটি হবি, আমি হব ফুল।' সেইদিন থেকে মাটিতে যে ফুল মুখ রাখে, সেইখানে গড়ে ওঠে ভালোবাসার তাজমহল। তুমি দেখেছ কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"কে যে কার, কার যে কে
এটা বুঝতে বুঝতে
আমরা আপন থেকে পর হয়ে যাই!" সন্দীপ গোস্বামী
"নীতিশাস্ত্র বিমুখ কোনও মানুষ বা দেশ ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারে না। যদি হয়, তবে তা মিথ্যা, ছলনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অন্তর থেকে ভালোবাসতে শুরু করলে, জগৎসংসারের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটাই কৃষ্ণপ্রেমের জাদু।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায় তার কৃতজ্ঞতা বোধ, এটা কখনও অসম্মানের বিষয় নয়।" সন্দীপ গোস্বামী"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা এবং প্রেম এক নয়! হৃদয় কেন্দ্রিক আনন্দের উচ্ছ্বাসকে ভালোবাসা বলা যায়, যা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু প্রেম হল আত্মাস্থিত পরমানন্দের নীরব প্রবাহ, যা চিরস্থায়ী।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষ বিশ্বের দার্শনিক, আয়ুর্বেদিক, আধ্যাত্মিক এবং যোগ গুরু হিসাবে স্বীকৃত । শান্তিপ্রিয় ভারতবর্ষের প্রতি কেউ আঘাত হানলে সর্বশক্তিমানসহ সমগ্র জগৎ তার বিনাশ ঘটায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞান আমাদের বাঁচতে শেখায় এবং ধর্ম আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এইখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা ছাড়া মানুষের দান করবার মতো, নিজস্ব আর কিছু নেই। বাদবাকি সবকিছু প্রকৃতির দান।" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ষড়যন্ত্র যে নামকে মুছে ফেলতে চায়, প্রকৃতি সেই নামকে ততোধিক উজ্জ্বল করে তোলে!" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"শোন হে মানুষভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য, তাহার উপরে নাই।" সন্দীপ গোস্বামী"যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন, মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী Philosophy of Sandip Goswami
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী
"একটি সাধারণ পরিবার সুখী পরিবার হয়ে ওঠে যখন সেই পরিবারের মহিলারা নমনীয়, পুরুষেরা চরিত্রবান এবং শিশুরা মহানন্দে শৈশব উপভোগ করতে পারে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রচুর ধর্মীয় গ্রন্থ পড়া হোল, দীর্ঘকাল ধরে পূজাপার্বণ, জপতপ, দানধ্যান, তীর্থভ্রমণ সাঙ্গ হল, তবু তাঁর দর্শন হোল না। আসলে ঈশ্বরের অহেতুক কৃপা ছাড়া তাঁর দর্শন কেউ পায় না। দু:খ পেতে নেই, অপেক্ষা করতে হয়। এই জন্মে অথবা জন্মান্তরে তাঁর দর্শন মিলতেও পারে।" সন্দীপ গোস্বামী
"চিরকাল শ্রেষ্ঠ মানুষেরা প্রকৃতির অভিশাপ নিয়ে জন্মান, অসহনীয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়তে থাকেন এবং সবশেষে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আশীর্বাদে যুগোত্তীর্ণ হয়ে ওঠেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"সুন্দরকে যে ভালোবাসে, সে প্রেমিক। সুন্দরকে যে বলপূর্বক বা কৌশলে হরণ করতে চায়, সে অপরাধী। জীবনাশ্রিত মুল্যবান আবেগের নাম ভালোবাসা।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানের আভিধানিক অর্থ 'Comprehensive Knowledge' অর্থাৎ পূর্ণজ্ঞান আর ধর্মের মূল অর্থ হচ্ছে 'যা ধারণ করে'। এর থেকে কি প্রমাণ হয় না, বিজ্ঞান অর্থাৎ পূর্ণজ্ঞান যা সর্বত্র ধারণ করতে পারে তাইতো ধর্ম, পূর্ণজ্ঞান তো ধর্ম, পূর্ণজ্ঞানই তো মানুষের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে।" সন্দীপ গোস্বামী
"রাধা এবং শ্রীকৃষ্ণের যুগল মূর্তি কোন প্রেমিক-প্রেমিকার মানবীয় রূপ নয়। এই অপূর্ব মূর্তি আত্মা এবং পরমাত্মার চিরন্তন আধ্যাত্মিক রূপ, ভক্ত এবং ভগবানের নিষ্কাম প্রেমের কাব্যিক প্রকাশ। সনাতন স্বর্গীয় প্রেমের প্রতীক।"সন্দীপ গোস্বামী
"যখন মানুষের জীবনে অশ্রু প্রেম হয়ে যায়। শুরু হয় আধ্যাত্মিক জীবন।" সন্দীপ গোস্বামী
"শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ বিরচিত শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত বাংলা সাহিত্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ । এই মহান গ্রন্থে কাব্য, দর্শন, ইতিহাস এবং প্রেম ধর্মের যে অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে, তার তুলনা বিশ্বসাহিত্যে নেই । এই গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের মা । যার আশ্রয়ে রবীন্দ্রনাথ সহ সমগ্র বাংলা সাহিত্য আজও এগিয়ে চলেছে এবং প্রবলভাবে ঋণী ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বোকা মানুষেরা মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের ছবিতে আকৃষ্ট হয়, বুদ্ধিমান মানুষেরা মহাপ্রভুর জীবনবোধে আত্মনিয়োগ করেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"জ্যোতিষচর্চা যেমন গুপ্তবিজ্ঞান তেমনি বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রতারণার শিল্পও বলা যায়। জ্যোতিষীর চরিত্রের উপর যা প্রবলভাবে নির্ভরশীল।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনটাই ছবি, যে দেখতে পারে সেই কবি। " সন্দীপ গোস্বামী
"সত্যের পথ চিরন্তন পথ, মানবিকতার পথ। এই পথে গড়ে উঠেছে প্রকৃত মানুষদের কর্মভূমি। অনন্ত কন্ঠে আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হোক 'সত্যমেব জয়তে'।" সন্দীপ গোস্বামী
."আধ্যাত্মিকতায় দু'টি শব্দ সত্য এবং প্রেমের গুরুত্ব অপরিসীম। পরমাত্মার এই দু'টি নয়ন তিনি প্রতিটি মানুষকে দান করেছেন। এই সত্য এবং প্রেমের দৃষ্টি লাভ করলে তাঁব দর্শন খুব সহজ হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"গর্বের সাথে বলি আমি মানুষ, মনুষ্যত্ব আমার ধর্ম, এই বিশ্ব আমাদের মাতৃভূমি। আনন্দের সাথে বলি আমরা পরমাত্মার সন্তান, অমৃতের সন্ধানী। দৃঢ়তার সাথে বলি আমরা সনাতনী ভারতবাসী, তাই কোনপ্রকার সংকীর্ণতা, বিভেদ, হীনম্মন্যতা আমাদের গ্রাস করতে পারবেনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করে, রাজনীতিতে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হোক। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞান আমাদের বাঁচতে শেখায় এবং ধর্ম আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এইখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান। " সন্দীপ গোস্বামী
"যে কোন ঘৃণার বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র হল ভালোবাসা। যুদ্ধ কোন খেলা নয়, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতে নেই। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিক এবং আহত হৃদয়ের মানুষেরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য অতি সহজে লাভ করেন। কোন প্রকার চালাকি তাঁব অহেতুক কৃপালাভ ঘটাতে পারেনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ইসকন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, বিশ্বব্যাপী সনাতন শিক্ষা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে।' সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"কে যে কার, কার যে কে
এটা বুঝতে বুঝতে
আমরা আপন থেকে পর হয়ে যাই!" সন্দীপ গোস্বামী
"একদিন ভালোবাসা বলল, 'তুই মাটি হবি, আমি হব ফুল।' সেইদিন থেকে মাটিতে যে ফুল মুখ রাখে, সেইখানে গড়ে ওঠে ভালোবাসার তাজমহল। তুমি দেখেছ কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"নীতিশাস্ত্র বিমুখ কোনও মানুষ বা দেশ ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারে না। যদি হয়, তবে তা মিথ্যা, ছলনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অন্তর থেকে ভালোবাসতে শুরু করলে, জগৎসংসারের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটাই কৃষ্ণপ্রেমের জাদু।" সন্দীপ গোস্বামী
"যদি ভিক্ষা চাইতে হয়, তবে তোমার হৃদয় চাইব। কদাচিৎ অন্য আর কিছু চাই না।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভারতীয় শিল্পকলা, সংস্কৃতি, ধর্ম, ভালোবাসা এবং একতার প্রতীক রথ। জীবনের রশি টেনে সংঘবদ্ধভাবে জীবন এগিয়ে দেয় তার পরম্পরা, ঐতিহ্য, স্বপ্ন..." সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায় তার কৃতজ্ঞতা বোধ, এটা কখনও অসম্মানের বিষয় নয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"শোনো হে মানুষ ভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য তাহার উপরে নাই । " সন্দীপ গোস্বামী
"বোকা পৃথিবী ভালোবাসা চায়, কিন্তু বুদ্ধিমান পৃথিবী ভালোবাসা বিতরণ করে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন উজ্জ্বলকারী মূল্যবান আবেগের নাম ভালবাসা। " সন্দীপ গোস্বামী
"কৃষ্ণপ্রেমে স্বর্গলাভ হয় না, পৃথিবী স্বর্গ হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা ছাড়া মানুষের দান করার মতো আর কিছু নেই, বাদবাকি সবকিছু প্রকৃতির দান।" সন্দীপ গোস্বামী
"শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কেন্দ্রিক ভক্তি আন্দোলনে তিনজন মহাপুরুষের অবদান অপরিসীম। এই আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, ভারতব্যাপী এই আন্দোলনে মহাপ্রভুকে, নিজস্ব অস্তিত্ব এবং সংগঠনের সহায়তায় এগিয়ে দেন ভারত শ্রেষ্ঠ মহাপণ্ডিত বাসুদেব সার্বভৌম এবং আজও যাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন জীবিত, তিনি হলেন বৈষ্ণবের নয়নের মণি শ্রীনিত্যানন্দ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় ভালো বাসা, যা ব্যক্তিগত, কোনো বস্তুগত নয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশ্বের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানবিক, বিজ্ঞানসম্মত, গণতান্ত্রিক, সমাজবাদী এবং স্বাধীন ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম। এই ধর্মের অন্তরে সর্বধর্ম সমন্বয়, আমায় বারংবার মুগ্ধ এবং গর্বিত করে। বিশ্ব মানবসমাজও ধীরেধীরে এই সত্য উপলব্ধি করছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"মহৎ নয় সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে প্রকৃতি এবং পরমাত্মার অনন্ত আনন্দযজ্ঞে নিজেকে সমর্পণ করি।" সন্দীপ গোস্বামী"সমস্ত শিক্ষার ঊর্ধ্বে মানবতা, সমস্ত বিচারের ঊর্ধ্বে মানবতা, এমনকি সমস্ত ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা। মানবতার এমন শিক্ষা বড় দুর্লভ। তাই শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবের পর নবীন সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধুমাত্র প্রেমের জাদুতে পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের অহংকারী, বর্ণবিদ্বেষী, সাম্রাজ্যবাদী জাতিকে একজন ভারতীয় কৃষ্ণাঙ্গের পদতলে নত করানোই, বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লব। এই অভূতপূর্ব আধ্যাত্মিক বিপ্লবের জন্য বিশ্ব ইতিহাসে নবদ্বীপ তথা ভারতের বৈষ্ণবসমাজের কৃতিত্ব স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে, ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ। এটা প্রাকৃতিক বিভাজন। এর বাইরে অন্য সমস্ত বিভাজন খারাপ মানুষেরা তৈরি করেছে।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র ভারতে ক্ষত্রিয় বর্ণ থেকে ভগবান আত্মপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাঙালি জাতি ব্রাহ্মণ বর্ণ থেকে তাদের ভগবানকে খুঁজে পেয়েছে। তাই বাংলার ঘরে ঘরে শ্রীশ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীলোকনাথ পরম শ্রদ্ধার সাথে ভগবানের আসনে পূজিত হয়। এটাও বাঙালি জাতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। " সন্দীপ গোস্বামী
"এই সময়ের পৃথিবীতে তুমি দুটি জিনিস অন্যদের থেকে পাবে । হিংসা অথবা করুণা । তোমার সফলতায় হিংসা এবং ব্যর্থতায় করুণা । তাই দুঃখ পেও না । করুণা নিয়ে বেঁচে থাকা অর্থহীন । তুমি ভালোবাসার রাজা বা রাণী হয়ে ভালোবাসা বিলিয়ে যাও, ভালোবাসার ভিখারি হতে চেও না । একদিন তোমার ভালোবাসায় লেখা হবে মানবজাতির ভবিষ্যৎ, তুমি হবে ইতিহাস ।" সন্দীপ গোস্বামী
"অন্ধকার সেই মানুষকে গ্রাস করে, যার নিজস্ব আলো নেই।" সন্দীপ গোস্বামী
"অন্তরের রূপের সাথে বাহ্যিক রূপের মিলনে মানুষ প্রকৃত সুন্দর হয়ে ওঠে, সৃষ্টি হয় রূপমুগ্ধ মুহূর্ত।"সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকেও সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"যেদিন থেকে মানুষ কর্মকে ধান্দা বানিয়েছে, সেদিন থেকে মানুষ অস্থির, সদাব্যস্ত হয়েছে। আসলে কর্ম মানুষকে আনন্দ প্রদান করে কিন্তু ধান্দা ফিরিয়ে দেয় অস্থিরতা। " সন্দীপ গোস্বামী
"যে ভালোবাসা অর্থ দেখে ভোলে, তা ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসা রূপ দেখে ভোলে, তা ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসা গুণ দেখে ভোলে, তাও ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসায় অস্থির জীবন স্থির হয়, জীবন আনন্দময় হয়ে ওঠে, সবাইকে আরও বেশি ভালবাসতে ইচ্ছা হয়, মন অনন্ত খুশিতে ভরে যায়, তাকেই বলে ভালোবাসা ।" সন্দীপ গোস্বামী
"এ কোন ধরণের প্রেম, যেখানে প্রেমী খুনি হয়ে ওঠে! এ কোন ধরণের সভ্যতা, যেখানে সিপাহীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়! এ কোন ধরণের আধুনিকতা, যেখানে নারীর সম্মান ধুলোয় লুটায়! এ কোন ধরণের ধর্ম, যেখানে ধর্মস্থান রক্তে ভেসে যায়! এ কি ধরণের বিচার, যার মধ্যে উত্তরণ নেই!" সন্দীপ গোস্বামী
"সত্যের পথ চিরন্তন পথ, মানবিকতার পথ। এই পথে গড়ে উঠেছে প্রকৃত মানুষদের কর্মভূমি। অনন্ত কন্ঠে আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হোক 'সত্যমেব জয়তে'।" সন্দীপ গোস্বামী
"একজন কবির কাছে তুমি কি আশা কর বন্ধু! শুধু কবিতা এবং ভালোবাসা ছাড়া, তাঁর দেওয়ার আর কিছু নেই।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুর ঐশ্বরিক হাসি, মায়ের অনন্ত আশীর্বাদ এবং জন্মভূমির অচিন্তনীয় গন্ধ হল দুনিয়ায় সবচেয়ে পবিত্র প্রাপ্তি। পরমাত্মার আশীর্বাদে এই পবিত্রতাকে কোনভাবে অপবিত্র করা যায় না।" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি সাধারণ পরিবার সুখী পরিবার হয়ে ওঠে যখন সেই পরিবারের মহিলারা নমনীয়, পুরুষেরা চরিত্রবান এবং শিশুরা মহানন্দে শৈশব উপভোগ করতে পারে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রচুর ধর্মীয় গ্রন্থ পড়া হোল, দীর্ঘকাল ধরে পূজাপার্বণ, জপতপ, দানধ্যান, তীর্থভ্রমণ সাঙ্গ হল, তবু তাঁর দর্শন হোল না। আসলে ঈশ্বরের অহেতুক কৃপা ছাড়া তাঁর দর্শন কেউ পায় না। দু:খ পেতে নেই, অপেক্ষা করতে হয়। এই জন্মে অথবা জন্মান্তরে তাঁর দর্শন মিলতেও পারে।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুর ঐশ্বরিক হাসি, মায়ের অনন্ত আশীর্বাদ এবং জন্মভূমির অচিন্তনীয় গন্ধ হল দুনিয়ায় সবচেয়ে পবিত্র প্রাপ্তি। পরমাত্মার আশীর্বাদে এই পবিত্রতাকে কোনভাবে অপবিত্র করা যায় না।" সন্দীপ গোস্বামী
"সুন্দরকে যে ভালোবাসে, সে প্রেমিক। সুন্দরকে যে বলপূর্বক বা কৌশলে হরণ করতে চায়, সে অপরাধী। জীবনাশ্রিত মুল্যবান আবেগের নাম ভালোবাসা।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানের আভিধানিক অর্থ 'Comprehensive Knowledge' অর্থাৎ পূর্ণজ্ঞান আর ধর্মের মূল অর্থ হচ্ছে 'যা ধারণ করে'। এর থেকে কি প্রমাণ হয় না, বিজ্ঞান অর্থাৎ পূর্ণজ্ঞান যা সর্বত্র ধারণ করতে পারে তাইতো ধর্ম, পূর্ণজ্ঞান তো ধর্ম, পূর্ণজ্ঞানই তো মানুষের মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে।" সন্দীপ গোস্বামী
"চিরকাল শ্রেষ্ঠ মানুষেরা প্রকৃতির অভিশাপ নিয়ে জন্মান, অসহনীয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়তে থাকেন এবং সবশেষে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের আশীর্বাদে যুগোত্তীর্ণ হয়ে ওঠেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"যখন মানুষের জীবনে অশ্রু প্রেম হয়ে যায়। শুরু হয় আধ্যাত্মিক জীবন।" সন্দীপ গোস্বামী
"শ্রীকৃষ্ণদাস কবিরাজ বিরচিত শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত বাংলা সাহিত্যে শ্রেষ্ঠ সম্পদ । এই মহান গ্রন্থে কাব্য, দর্শন, ইতিহাস এবং প্রেম ধর্মের যে অপূর্ব মেলবন্ধন ঘটেছে, তার তুলনা বিশ্বসাহিত্যে নেই । এই গ্রন্থ বাংলা সাহিত্যের মা । যার আশ্রয়ে রবীন্দ্রনাথ সহ সমগ্র বাংলা সাহিত্য আজও এগিয়ে চলেছে এবং প্রবলভাবে ঋণী ।" সন্দীপ গোস্বামী
"রাধা এবং শ্রীকৃষ্ণের যুগল মূর্তি কোন প্রেমিক-প্রেমিকার মানবীয় রূপ নয়। এই অপূর্ব মূর্তি আত্মা এবং পরমাত্মার চিরন্তন আধ্যাত্মিক রূপ, ভক্ত এবং ভগবানের নিষ্কাম প্রেমের কাব্যিক প্রকাশ। সনাতন স্বর্গীয় প্রেমের প্রতীক।"সন্দীপ গোস্বামী
"বোকা মানুষেরা মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের ছবিতে আকৃষ্ট হয়, বুদ্ধিমান মানুষেরা মহাপ্রভুর জীবনবোধে আত্মনিয়োগ করেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"জ্যোতিষচর্চা যেমন গুপ্তবিজ্ঞান তেমনি বুদ্ধিমত্তার সাথে প্রতারণার শিল্পও বলা যায়। জ্যোতিষীর চরিত্রের উপর যা প্রবলভাবে নির্ভরশীল।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনটাই ছবি, যে দেখতে পারে সেই কবি। " সন্দীপ গোস্বামী
"আধ্যাত্মিকতায় দু'টি শব্দ সত্য এবং প্রেমের গুরুত্ব অপরিসীম। পরমাত্মার এই দু'টি নয়ন তিনি প্রতিটি মানুষকে দান করেছেন। এই সত্য এবং প্রেমের দৃষ্টি লাভ করলে তাঁব দর্শন খুব সহজ হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"গর্বের সাথে বলি আমি মানুষ, মনুষ্যত্ব আমার ধর্ম, এই বিশ্ব আমাদের মাতৃভূমি। আনন্দের সাথে বলি আমরা পরমাত্মার সন্তান, অমৃতের সন্ধানী। দৃঢ়তার সাথে বলি আমরা সনাতনী ভারতবাসী, তাই কোনপ্রকার সংকীর্ণতা, বিভেদ, হীনম্মন্যতা আমাদের গ্রাস করতে পারবেনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ধর্ম নিয়ে রাজনীতি না করে, রাজনীতিতে ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হোক। " সন্দীপ গোস্বামী
"যে কোন ঘৃণার বিরুদ্ধে একমাত্র অস্ত্র হল ভালোবাসা। যুদ্ধ কোন খেলা নয়, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতে নেই। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞান আমাদের বাঁচতে শেখায় এবং ধর্ম আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এইখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিক এবং আহত হৃদয়ের মানুষেরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সান্নিধ্য অতি সহজে লাভ করেন। কোন প্রকার চালাকি তাঁব অহেতুক কৃপালাভ ঘটাতে পারেনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ইসকন শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়, বিশ্বব্যাপী সনাতন শিক্ষা এবং ভারতীয় সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে।' সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"কে যে কার, কার যে কে
এটা বুঝতে বুঝতে
আমরা আপন থেকে পর হয়ে যাই!" সন্দীপ গোস্বামী
"একদিন ভালোবাসা বলল, 'তুই মাটি হবি, আমি হব ফুল।' সেইদিন থেকে মাটিতে যে ফুল মুখ রাখে, সেইখানে গড়ে ওঠে ভালোবাসার তাজমহল। তুমি দেখেছ কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"নীতিশাস্ত্র বিমুখ কোনও মানুষ বা দেশ ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারে না। যদি হয়, তবে তা মিথ্যা, ছলনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অন্তর থেকে ভালোবাসতে শুরু করলে, জগৎসংসারের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটাই কৃষ্ণপ্রেমের জাদু।" সন্দীপ গোস্বামী
"যদি ভিক্ষা চাইতে হয়, তবে তোমার হৃদয় চাইব। কদাচিৎ অন্য আর কিছু চাই না।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভারতীয় শিল্পকলা, সংস্কৃতি, ধর্ম, ভালোবাসা এবং একতার প্রতীক রথ। জীবনের রশি টেনে সংঘবদ্ধভাবে জীবন এগিয়ে দেয় তার পরম্পরা, ঐতিহ্য, স্বপ্ন..." সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায় তার কৃতজ্ঞতা বোধ, এটা কখনও অসম্মানের বিষয় নয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"বোকা পৃথিবী ভালোবাসা চায়, কিন্তু বুদ্ধিমান পৃথিবী ভালোবাসা বিতরণ করে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"শোনো হে মানুষ ভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য তাহার উপরে নাই । " সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন উজ্জ্বলকারী মূল্যবান আবেগের নাম ভালবাসা। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা ছাড়া মানুষের দান করার মতো আর কিছু নেই, বাদবাকি সবকিছু প্রকৃতির দান।" সন্দীপ গোস্বামী
"কৃষ্ণপ্রেমে স্বর্গলাভ হয় না, পৃথিবী স্বর্গ হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন, মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় ভালো বাসা, যা ব্যক্তিগত, কোনো বস্তুগত নয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু কেন্দ্রিক ভক্তি আন্দোলনে তিনজন মহাপুরুষের অবদান অপরিসীম। এই আন্দোলনের স্থপতি ছিলেন শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, ভারতব্যাপী এই আন্দোলনে মহাপ্রভুকে, নিজস্ব অস্তিত্ব এবং সংগঠনের সহায়তায় এগিয়ে দেন ভারত শ্রেষ্ঠ মহাপণ্ডিত বাসুদেব সার্বভৌম এবং আজও যাঁর নেতৃত্বে এই আন্দোলন জীবিত, তিনি হলেন বৈষ্ণবের নয়নের মণি শ্রীনিত্যানন্দ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শোন হে মানুষভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য, তাহার উপরে নাই।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রকৃতি এবং পরমাত্মার অভেদ, অখণ্ড সম্পর্কের নাম রাধাকৃষ্ণের যুগলমিলন। এর বাইরে অন্য সবকিছু লোককথা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের শিক্ষায় জাতের নামে বজ্জাতি অথবা নিচু জাতের জন্য মেকি সংরক্ষণের কোনও মান্যতা ছিল না। তিনি মেধাশক্তিকে সর্বদা মর্যাদা দিতেন। ব্যক্তির যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব দিতেন। এমন বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষা বলা উচিত।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশ্বের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানবিক, বিজ্ঞানসম্মত, গণতান্ত্রিক, সমাজবাদী এবং স্বাধীন ধর্মের নাম সনাতন ধর্ম। এই ধর্মের অন্তরে সর্বধর্ম সমন্বয়, আমায় বারংবার মুগ্ধ এবং গর্বিত করে। বিশ্ব মানবসমাজও ধীরেধীরে এই সত্য উপলব্ধি করছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"আমরা সবাই মধ্যম হয়ে বেঁচে আছি। বাদবাকি অন্তর্ভাষ্য, লোকগীতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মহৎ নয় সম্পূর্ণ মানুষ হয়ে প্রকৃতি এবং পরমাত্মার অনন্ত আনন্দযজ্ঞে নিজেকে সমর্পণ করি।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমস্ত শিক্ষার ঊর্ধ্বে মানবতা, সমস্ত বিচারের ঊর্ধ্বে মানবতা, এমনকি সমস্ত ধর্মের ঊর্ধ্বে মানবতা। মানবতার এমন শিক্ষা বড় দুর্লভ। তাই শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবের পর নবীন সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধুমাত্র প্রেমের জাদুতে পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহের অহংকারী, বর্ণবিদ্বেষী, সাম্রাজ্যবাদী জাতিকে একজন ভারতীয় কৃষ্ণাঙ্গের পদতলে নত করানোই, বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিপ্লব। এই অভূতপূর্ব আধ্যাত্মিক বিপ্লবের জন্য বিশ্ব ইতিহাসে নবদ্বীপ তথা ভারতের বৈষ্ণবসমাজের কৃতিত্ব স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে দুই ধরণের মানুষ আছে, ভালো মানুষ এবং খারাপ মানুষ। এটা প্রাকৃতিক বিভাজন। এর বাইরে অন্য সমস্ত বিভাজন খারাপ মানুষেরা তৈরি করেছে।" সন্দীপ গোস্বামী
"অন্ধকার সেই মানুষকে গ্রাস করে, যার নিজস্ব আলো নেই।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র ভারতে ক্ষত্রিয় বর্ণ থেকে ভগবান আত্মপ্রকাশ করেছেন। কিন্তু বাঙালি জাতি ব্রাহ্মণ বর্ণ থেকে তাদের ভগবানকে খুঁজে পেয়েছে। তাই বাংলার ঘরে ঘরে শ্রীশ্রীচৈতন্যদেব, শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রীলোকনাথ পরম শ্রদ্ধার সাথে ভগবানের আসনে পূজিত হয়। এটাও বাঙালি জাতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। " সন্দীপ গোস্বামী
"এই সময়ের পৃথিবীতে তুমি দুটি জিনিস অন্যদের থেকে পাবে । হিংসা অথবা করুণা । তোমার সফলতায় হিংসা এবং ব্যর্থতায় করুণা । তাই দুঃখ পেও না । করুণা নিয়ে বেঁচে থাকা অর্থহীন । তুমি ভালোবাসার রাজা বা রাণী হয়ে ভালোবাসা বিলিয়ে যাও, ভালোবাসার ভিখারি হতে চেও না । একদিন তোমার ভালোবাসায় লেখা হবে মানবজাতির ভবিষ্যৎ, তুমি হবে ইতিহাস ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকেও সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"অন্তরের রূপের সাথে বাহ্যিক রূপের মিলনে মানুষ প্রকৃত সুন্দর হয়ে ওঠে, সৃষ্টি হয় রূপমুগ্ধ মুহূর্ত।"সন্দীপ গোস্বামী
"যেদিন থেকে মানুষ কর্মকে ধান্দা বানিয়েছে, সেদিন থেকে মানুষ অস্থির, সদাব্যস্ত হয়েছে। আসলে কর্ম মানুষকে আনন্দ প্রদান করে কিন্তু ধান্দা ফিরিয়ে দেয় অস্থিরতা। " সন্দীপ গোস্বামী
"এ কোন ধরণের প্রেম, যেখানে প্রেমী খুনি হয়ে ওঠে! এ কোন ধরণের সভ্যতা, যেখানে সিপাহীর সংখ্যা দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়! এ কোন ধরণের আধুনিকতা, যেখানে নারীর সম্মান ধুলোয় লুটায়! এ কোন ধরণের ধর্ম, যেখানে ধর্মস্থান রক্তে ভেসে যায়! এ কি ধরণের বিচার, যার মধ্যে উত্তরণ নেই!" সন্দীপ গোস্বামী
"যে ভালোবাসা অর্থ দেখে ভোলে, তা ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসা রূপ দেখে ভোলে, তা ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসা গুণ দেখে ভোলে, তাও ভালোবাসা নয় । যে ভালোবাসায় অস্থির জীবন স্থির হয়, জীবন আনন্দময় হয়ে ওঠে, সবাইকে আরও বেশি ভালবাসতে ইচ্ছা হয়, মন অনন্ত খুশিতে ভরে যায়, তাকেই বলে ভালোবাসা ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সত্যের পথ চিরন্তন পথ, মানবিকতার পথ। এই পথে গড়ে উঠেছে প্রকৃত মানুষদের কর্মভূমি। অনন্ত কন্ঠে আকাশে-বাতাসে ধ্বনিত হোক 'সত্যমেব জয়তে'।" সন্দীপ গোস্বামী
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী Philosophy of Sandip Goswami
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী
"মানুষের তিনটি ইচ্ছা প্রকৃতি পূরণ করে, এর বাইরে অন্য সব ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়। তাই ধনী, দরিদ্র, জ্ঞানী, মূর্খ, নারী, পুরুষ সবাই অতৃপ্ত। এটাই প্রকৃতির সাম্যবাদ।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পশুত্ব থেকে মনুষ্যত্বে উত্তরণকে সভ্যতা বলে। বিশ্বে এই সভ্যতা আজও সম্পূর্ণরূপে আসেনি। তাই নগর কখনও অরণ্যের থেকেও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠে।" সন্দীপ গোস্বামী
"মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের শিক্ষায় জাতের নামে বজ্জাতি অথবা নিচু জাতের জন্য মেকি সংরক্ষণের কোনও মান্যতা ছিল না। তিনি মেধাশক্তিকে সর্বদা মর্যাদা দিতেন। ব্যক্তির যোগ্যতা অনুযায়ী তিনি দায়িত্ব দিতেন। এমন বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষা বলা উচিত।" সন্দীপ গোস্বামী
"এই সময়ের পৃথিবীতে তুমি দুটি জিনিস অন্যদের থেকে পাবে । হিংসা অথবা করুণা । তোমার সফলতায় হিংসা এবং ব্যর্থতায় করুণা । তাই দুঃখ পেও না । করুণা নিয়ে বেঁচে থাকা অর্থহীন । তুমি ভালোবাসার রাজা বা রাণী হয়ে ভালোবাসা বিলিয়ে যাও, ভালোবাসার ভিখারি হতে চেও না । একদিন তোমার ভালোবাসায় লেখা হবে মানবজাতির ভবিষ্যৎ, তুমি হবে ইতিহাস ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সনাতন হিন্দু ধর্মের সর্বাঙ্গীণ বিকাশ বৈষ্ণব সংস্কৃতিতে ঘটেছে। এই ধর্মের সৌন্দর্যও বৈষ্ণব সংস্কৃতিতে পূর্ণতা পেয়েছে। একইভাবে ইসলাম ধর্মের অভ্যন্তরীণ প্রেম, উদারতা সহ পূর্ণরূপ সুফি সংস্কৃতিতে প্রস্ফুটিত হয়েছে। ঐতিহাসিক ভক্তি আন্দোলনে এই দুই সংস্কৃতির মহামিলন ঘটেছিল।" সন্দীপ গোস্বামী
"হৃদয় দিতে হলে খন্ডে নয়, সমগ্রে দাও ; দোষ বা গুণে নয়, সমগ্র চরিত্রে দাও। জেনে রেখো যা ত্রুটিহীন, তাই কৃত্রিম।" সন্দীপ গোস্বামী
"দেশ বলতে শুধু দেশের সরকার, সংবিধান, জাতীয় পতাকা বা সংগীত নয়। দেশবাসী, পশু-পাখি, আকাশ, পাহাড়, সমুদ্র, মরুভূমি, অরণ্য, নদী, ঝরণা, দেশের ইতিহাস, দর্শন, সাহিত্য এবং সংস্কৃতিসহ সমগ্রকে নিয়ে একটি দেশ গড়ে ওঠে। খণ্ড নয় সমগ্র দেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা থেকে দেশপ্রেম সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে একজন দেশপ্রেমী বিশ্বপ্রেমী হয়ে ওঠে।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"জাতপাত সর্বদা ভয়ঙ্কর, তা সমাজ পোষিত হোক বা রাষ্ট্র পোষিত হোক। জাতপাত মানবজীবনে ক্যানসারের চেয়েও ক্ষতিকর যা অতীত, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে একইসাথে বিষাক্ত করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"আমাদের সর্বাঙ্গে কোনও না কোনও ধর্ম আছে । আমরা যে মানুষ । সব ধর্ম আমাদের মানবিকতার কথাই শেখায় । বিজ্ঞান আমাদের বেঁচে থাকতে আর ধর্ম আমাদের ভালবাসতে শেখায় । এখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান প্রত্যেক মানুষকে কিছু সময়ের জন্য একটি জীবন দিয়েছেন । সেই জীবন সেই মানুষের একান্ত ব্যক্তিগত । অন্যের হস্তক্ষেপ করা একদম উচিত নয় । শিশু নিজের শৈশব উপভোগ করে নিজের দেহ গঠন করবে । কিশোর তার জিজ্ঞাসু দুটি নয়ন দিয়ে জগত চিনবে । যুবক গড়ে তুলবে কর্ম, জ্ঞান এবং প্রেমের সংসার । বয়স্কমানুষেরা খুশি মনে উত্তরসূরিদের প্রতি নজর রাখবে এবং তাদের মার্গদর্শন শেখাবেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"এই বিশ্বে নব্বই শতাংশ মানুষ সৎ, ভদ্র এবং সরল । অথচ এই পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতা দশ শতাংশ খারাপ মানুষ দখল করে রেখেছে । এর পিছনে একটাই কারণ যে খারাপ মানুষেরা সংগঠিত, কিন্তু ভালো মানুষেরা অসংগঠিত । যেদিন ভালো মানুষেরা সংগঠিত হবেন সেইদিন এই পৃথিবীর সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শ্রীশ্রীচৈতন্যদেবের জন্মস্থান নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই, নানা মুনির নানা মত। নির্দ্বিধায় বলতে পারি জন্মস্থান সম্বন্ধীয় প্রতিটি মতামত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, অসত্য এবং মিথ্যা। সেই সময়ের চৈতন্য জীবনীকারেরা সুপরিকল্পিতভাবে মহাপ্রভুর জন্ম-মৃত্যুকে গৌণ রেখে, চৈতন্য জীবনচরিতকে আলোকিত করেছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন, যুগে যুগে মানুষের নিত্য চেতনায় চৈতন্য আবির্ভূত হোক এবং মানুষের বিকৃত বোধে হোক চৈতন্যের তিরোধান। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভারতবর্ষে কোন কালেই ব্রাহ্মণ্যবাদ আসেনি, এলে এই দুর্ভাগা দেশে সোনা ফলত। তথাকথিত ব্রাহ্মণ্যবাদ, প্রকৃতপক্ষে রাজতন্ত্র এবং পুঁজিবাদী ষড়যন্ত্রের নিকৃষ্টতম ফসল।" সন্দীপ গোস্বামী
"আমি ঈশ্বরের কাছে কিছু চাই নি,
চেতনার শিখরে যে উপলব্ধি
আত্ম প্রতীক হয়ে ওঠে, তাই দিয়েছি
আর অনেক আবেগ, নীরবতা।"
সন্দীপ গোস্বামী
"আত্মার সাথে আত্মার, আত্মার সাথে প্রকৃতির, আত্মার সাথে পরমাত্মার সংযোগ স্থাপনকে যোগ বলে। নিজের দোষত্রুটি বিয়াগ যোগের প্রথম ধাপ। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভাগ্যবান অযোগ্যের দাপাদাপি এবং ভাগ্যহীন যোগ্য মানুষের ক্রন্দন এই সময়ের ভবিতব্য! প্রকৃতির এই নিষ্ঠুর আচরণের কোন গ্রহণযোগ্য কারণ আজও খুঁজে পাইনি!" সন্দীপ গোস্বামী
"আমি জানতাম না, ঈশ্বর, আল্লাহ, গড কেমন দেখতে, কোথায় তাঁদের দেখতে পাব! তাই খুঁজেছি মন্দির, মসজিদ, গির্জায়...তাঁকে পেয়েছি সেই মানুষগুলির মধ্যে যাঁরা ঈশ্বরকে ভালোবাসেন, আল্লাহর মধ্যে খুঁজে পান মানবপ্রেম, হৃদয়ের গডকে শ্রদ্ধা করেন। এই মানুষদের উদারতা, মানবতা এবং ভালোবাসা আমার মাথা নত করে দিল।" সন্দীপ গোস্বামী
"কে তোমায় প্রকৃত ভালবাসে, এটা বুঝতে না পারাই একজন মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় অজ্ঞতা এবং নির্বুদ্ধিতা!" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার হৃদয়ে শ্রদ্ধা আছে এবং চেতনায় শুভবুদ্ধি I সেই সবাইকে ভালোবাসতে পারে I" সন্দীপ গোস্বামী
"সমস্যার স্তূপে বসে লিখতে থাকে সময়ের ইতিহাস, মানবতাবাদ। কেউ বলে রম্যরচনা, কেউ বলে কবিতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"যিনি সত্যের পথে হাঁটছেন, তার কাছে সর্বপ্রকার ধন আসতে থাকবে। অজান্তে তাকে অনুসরণ করা প্রকৃত মানুষের দল তার সাথে হাঁটতে থাকবে। পথসঙ্গীদের মুগ্ধতা, শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় তার চারিদিকে ছেয়ে থাকবে শান্তির বাতাবরণ, এমন সম্মান সে পেতে থাকবে যা কোনদিন কল্পনাও করতে পারেনি। এমনকি সে অমরত্ব পেয়ে যেতে পারে।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"পিছন থেকে নিরন্তর বিষাক্ত ছোবল খেতে খেতে জীবনটাই হয়ে উঠছে অমৃতের ভাণ্ড! অবাক, হতবাক!" সন্দীপ গোস্বামী
"যখন কোন মানুষ উপলব্ধি করতে পারেন যে, এই দুনিয়ায় নিঃস্বার্থ ভালোবাসা বলে কিছু নেই। মৃত্যুর কিছুদিনের মধ্যে তার জন্য কেউ অশ্রুপাত করবেনা এবং তার স্মৃতিচারণ আর কেউ করবেনা। সেইদিন থেকে মানুষটি শান্ত হতে শুরু করে।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বগ্রাসী বোধের কারণে ডাইনোসরের বিনাশ ঘটেছে, মানুষও এই সর্বগ্রাসী বোধকে প্রশ্রয় দিচ্ছে! জীবনে বোধ খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বোধে জীবের বিনাশ, আবার বোধেই উত্তরণ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"এই সময়ে পিতামাতা ছাড়া আর কাউকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতে নেই। নচেৎ বুক ফাটবে নিশ্চিত।" সন্দীপ গোস্বামী
"মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার, স্বগৃহে, যেখানে খুশি সর্বশক্তিমানের কাছে প্রার্থনা করা যেতে পারে। নিজের জন্য না হয়ে, তা যেন বিশ্বকল্যাণে আয়োজিত হয়। অন্যথায় সমস্ত প্রার্থনা নিষ্ফল হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"যে কথাটি আমাদের মননে ঢেউ তোলে, কেন ভালো মানুষেরা কষ্ট পাচ্ছেন! গভীর পর্যবেক্ষণ করলেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। বাইরের ভালো আর অন্তরের ভালোর মধ্যে একটা টালমাটাল অবস্থা এদের মধ্যে দেখা যায়। তাদের এক পা সত্যে এবং অন্যটি মিথ্যায়। এই দোদুল্যমান অবস্থায় তারা বেসামাল। তাই সত্য-পথযাত্রীদের উচিত সত্য পথের মাঝখান দিয়ে হাঁটা, শিরদাঁড়া টানটান করে। তখন তিনি আর কোন সজীব বস্তু নন, হয়ে উঠবেন 'মানুষ'।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"প্রকৃতি কী সুন্দর! জীবন কত সুন্দর! তুমিও খুব সুন্দর! সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয় অপূর্ব! এই ভাবনা আমাকেও সুন্দর করে তোলে!" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো বাক্য অনেক সময় উৎকৃষ্ট নাও হতে পারে। যে বাক্য মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে তাকেই উৎকৃষ্ট বাক্য বা দর্শন বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রতিটি মানুষের জীবনে আসে প্রেম, আসে বসন্ত, আসে উত্তরণ। আবার অনাদরে, অবহেলায় দ্রুত হারিয়েও যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"পরিস্থিতির চাপে যখন দাতাকে গ্রহীতা হতে হয়, সেই সময় পরমাত্মারও নয়ন ছলছল করে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা এবং প্রেম এক নয়! হৃদয় কেন্দ্রিক আনন্দের উচ্ছ্বাসকে ভালোবাসা বলা যায়, যা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু প্রেম হল আত্মাস্থিত পরমানন্দের নীরব প্রবাহ, যা চিরস্থায়ী।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"মানুষ প্রকৃতিগত দুর্বল সৃষ্টি। দুর্বলতা থেকে সবলতায় উত্তরণের পথ হল শিক্ষা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মিশরের মানুষ প্রত্যেক ভারতবাসীকে 'প্রফেসর' বলে সম্বোধন করেন। উনারা বিশ্বাস করেন যে ভারতবাসীরা জন্মগত 'বিশ্বশিক্ষক'। ভারতের মতো মিশরও বিশ্বে প্রাচীনতম সভ্যতা।" সন্দীপ গোস্বামী
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী Philosophy of Sandip Goswami
সন্দীপ গোস্বামীর দর্শন সন্দীপনী
"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালবাসা পাপ নয়, বরং মহাপুণ্য । হাজার তীর্থযাত্রার থেকেও মহান কর্ম । ভালবাসা ছাড়া মানুষের দান করার, আর কিছু নিজস্ব নেই ।" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ প্রেমকে ঈশ্বরপ্রাপ্তি বলা উচিত। যে প্রেমের পরশে বৃদ্ধের মুখে ভেসে বেড়ায় শিশুর মিষ্টতা।" সন্দীপ গোস্বামী
"পিতা-মাতার ভালবাসা হাঁটতে শেখায়, কবিদের ভালবাসা পথ চলতে শেখায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবনকে সর্বত্র খন্ডিত দেখা যায়। অখন্ড জীবনকে জানতে ভক্তিপথ গ্রহণ করতে হয়, যেখানে প্রকৃত কর্ম, জ্ঞান এবং যোগের মহামিলন ঘটেছে। " সন্দীপ গোস্বামী
"একদিন ভালোবাসা বলল, 'তুই মাটি হবি, আমি হব ফুল।' সেইদিন থেকে মাটিতে যে ফুল মুখ রাখে, সেইখানে গড়ে ওঠে ভালোবাসার তাজমহল। তুমি দেখেছ কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"কে যে কার, কার যে কে
এটা বুঝতে বুঝতে
আমরা আপন থেকে পর হয়ে যাই!" সন্দীপ গোস্বামী
"নীতিশাস্ত্র বিমুখ কোনও মানুষ বা দেশ ধর্মশাস্ত্রে পারদর্শী হতে পারে না। যদি হয়, তবে তা মিথ্যা, ছলনা।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অন্তর থেকে ভালোবাসতে শুরু করলে, জগৎসংসারের অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়া যায়। এটাই কৃষ্ণপ্রেমের জাদু।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীতে সবচেয়ে শক্তিশালী ভাষার নাম, অনুভূতির ভাষা। এই ভাষায় দক্ষতা, একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষকে উচ্চস্তরে নিয়ে যায় তার কৃতজ্ঞতা বোধ, এটা কখনও অসম্মানের বিষয় নয়।" সন্দীপ গোস্বামী"প্রাণের সাথে প্রাণ, প্রাণের সাথে প্রকৃতি, প্রাণের সাথে মহাপ্রাণের মিলনকেই আধ্যাত্মিকতা বলে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা এবং প্রেম এক নয়! হৃদয় কেন্দ্রিক আনন্দের উচ্ছ্বাসকে ভালোবাসা বলা যায়, যা ক্ষণস্থায়ী। কিন্তু প্রেম হল আত্মাস্থিত পরমানন্দের নীরব প্রবাহ, যা চিরস্থায়ী।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"প্রাচীনকাল থেকে ভারতবর্ষ বিশ্বের দার্শনিক, আয়ুর্বেদিক, আধ্যাত্মিক এবং যোগ গুরু হিসাবে স্বীকৃত । শান্তিপ্রিয় ভারতবর্ষের প্রতি কেউ আঘাত হানলে সর্বশক্তিমানসহ সমগ্র জগৎ তার বিনাশ ঘটায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সময় দেয় যন্ত্রণা, সময় দেয় আনন্দ, সময় দেয় অবজ্ঞা, সময় দেয় স্বীকৃতি। সময়ের এই মাতব্বরি মেনে নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"জীবনে প্রচুর মানুষ আসবে, জীবনকে নাড়িয়ে দিয়ে চলেও যাবে । এদের মধ্যে কতিপয় মানুষ জীবনের সাথে মিশে যায় । তাদের ভালবাসায়, সোহাগে এবং শাসনে একটি সামান্য জীবন হয়ে ওঠে সম্মিলিত মহাজীবন । এই মহাজীবনের সুগন্ধ বুকে নিয়ে মানুষ অমরত্ব খুঁজতে থাকে । মৃত্যুবোধ, জীবনবোধের কাছে পরাস্ত হয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"স্বার্থপর মানুষদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তারা অসহিষ্ণু হয়ে যায় I কৌশলে জড়িয়ে দেয় দেশ, ধর্ম এবং জাতপাত I স্বার্থসিদ্ধি হয়ে গেলে তারা ঘুমিয়ে পরে, জ্বলতে থাকে দেশ, ধর্ম, জাতি এবং বোকা মানুষের দল I" সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞান আমাদের বাঁচতে শেখায় এবং ধর্ম আমাদের ভালোবাসতে শেখায়। এইখানেই বিজ্ঞান এবং ধর্মের ঐতিহাসিক অবদান। " সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা ছাড়া মানুষের দান করবার মতো, নিজস্ব আর কিছু নেই। বাদবাকি সবকিছু প্রকৃতির দান।" সন্দীপ গোস্বামী
"বৃহৎ জীবন শুধুমাত্র বড় বড় কথা বলেনা, বড় বড় কাজ করে। কথা নয়, বৃহৎ কর্মের মাধ্যমে মহত্ত্বের প্রকৃত প্রকাশ ঘটে থাকে।" সন্দীপ গোস্বামী
"ষড়যন্ত্র যে নামকে মুছে ফেলতে চায়, প্রকৃতি সেই নামকে ততোধিক উজ্জ্বল করে তোলে!" সন্দীপ গোস্বামী
"নিচু মনের মানুষেরা বিনাকারণে অন্য মানুষের হৃদয় কষ্টে ভরিয়ে দেয়, অথচ উঁচু মনের মানুষেরা কোন কারণ ছাড়াই অন্য মানুষের হৃদয় আনন্দে উজ্জ্বল করে তোলে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"পৃথিবীর সমস্ত সর্বনাশের কারণ নির্বোধ স্বার্থপর লোকেরা। তাদের নির্বুদ্ধিতায় শয়তানদের ষড়যন্ত্রে বুদ্ধিমান, জ্ঞানী মানুষদের জীবনেও বিপদ ডেকে আনে। ইতিহাস এই নির্বোধদের কোনদিন ক্ষমা করেনি।" সন্দীপ গোস্বামী
"যার সোনায় খাদ মেশানোর কথা, সে শিক্ষক । যার জেলখানায় থাকার কথা, তার হাতে প্রশাসন । যার রক্তের ফোঁটায় ফোঁটায় অপসংস্কৃতি, সে সংস্কৃতির ধারক-বাহক । আর যে মানুষটি স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, তাঁর রাত কাটে দুঃস্বপ্নের অন্ধকারে । ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে বেড়ে উঠছে তরুণ প্রজন্ম । ওদের জানতেই দিলাম না, শিক্ষার উদ্দেশ্য কী! প্রশাসন কাকে বলে! সংস্কৃতির অবদান কোথায়! বুঝতেই দিলাম না যে স্বপ্নহীন মানুষ জীবিত নয় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"মানুষের তৃতীয় হাতের নাম অজুহাত। অজুহাত যার বেশি চলে তার অন্য দুই হাত পঙ্গু হয়ে যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সর্বশক্তিমান ঈশ্বর চারটি জিনিস খুব ভালোবাসেন, স্বচ্ছতা, পবিত্রতা, ভালোবাসা এবং শান্তি। যেখানে এই চারটি জিনিস থাকেনা, সেখানে তিনিও থাকেননা।" সন্দীপ গোস্বামী
"মনের মতো ভাবনা অনেক সময় উৎকৃষ্ট ভাবনা নয় । যে ভাবনা মনকে উৎকৃষ্ট করে তোলে, আরও ভাবতে বাধ্য করে । সেই ভাবনাকে উৎকৃষ্ট ভাবনা বলে ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"শোন হে মানুষভাই, সবার উপরে হৃদয় সত্য, তাহার উপরে নাই।" সন্দীপ গোস্বামী"যিনি প্রকৃত মানুষ গড়েন, মানুষ তাকে ঈশ্বর মানেন।" সন্দীপ গোস্বামী
"শুধু তুমি নও, পৃথিবীতে সবাই একা। পৃথিবীও একা।" সন্দীপ গোস্বামী"শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান কোথায়! পড়লাম প্রচুর গ্রন্থ, বুঝলাম গবেষকদের গবেষণা । তবু জানতে পারলাম না, কোথায় সেই পবিত্র স্থান! মন দিয়ে পড়লাম চৈতন্য ভাগবত, চৈতন্য চরিতামৃত এবং বিজ্ঞানী সুরেন্দ্রনাথ গুইয়ের অভূতপূর্ব গ্রন্থ 'পাতালদেবের তত্ত্ব' । পাতালদেব একজন পরম বৈষ্ণব সাধক, উনার পূর্ব নাম ছিল নারায়ণ গোস্বামী । নবদ্বীপের বনচারী বাগানে উনার আশ্রম । হঠাৎ মাথায় এল এই জায়গার নাম বনচারী বাগান হল কেন! পাশে কেন দণ্ডপাণিতলা (যার হাতে দণ্ড থাকে), বৈদিক পাড়া এবং গোবিন্দ দিঘি! কেন পাতালসাধুর আশ্রম ঘিরে রাধারমণ কর্মকার, সরস্বতী দাস, গৌরীশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভারতবিখ্যাত কীর্তনীয়ার বাসস্থান! বারবার গেছি পাতালসাধুর আশ্রমে, একবার পাতালে নেমে দেখেছি তাঁর সাধনপীঠ । প্রশ্ন জাগে কেন তিনি বেছে নিলেন এই অখ্যাত স্থান! আমার হাতে কোন পাথুরে প্রমাণ নেই যে এই নিয়ে লিখব । তবু হৃদয় বারবার বলে ওঠে পাতাল বাবা কি খুঁজে পেয়েছেন শ্রীশ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান!" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুরা পৃথিবীকে দু'টি দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শুরু করে । একটি মায়ের দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী খুব সুন্দর ঠিক তার মায়ের মতো । আর একটি হল পিতার দৃষ্টিকোণ, যেখানে পৃথিবী অস্তিত্বের জন্য সংগ্রামে ব্যস্ত। এরপর শিশুটি শিক্ষিত হতে থাকে, সে কবি, সাহিত্যিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে পৃথিবীকে দেখতে শুরু করে । যে পৃথিবী প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে থাকে । খুলতে থাকে শিশুর চোখ, উন্মোচিত সেই দৃষ্টিতে সে দেখতে থাকে নিজের পৃথিবী যা তার একান্ত নিজস্ব । ধীরে ধীরে সে পরিণত মানুষে রূপান্তরিত হতে থাকে । মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে ।" সন্দীপ গোস্বামী
"একটি দেশকে জানতে হলে সেই দেশের ইতিহাস, বিজ্ঞান, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, সংবিধান ইত্যাদি জানার চেয়েও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হল সেই দেশে শিশু, নারী এবং সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান অর্জন করা। এখানেই লুকিয়ে আছে দেশটির ডিএনএ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবন যখন অন্ধকারে ঢেকে যায়, একটু আলোর সন্ধানে আমরা আশ্রয় নিই দার্শনিকদের প্রবচনে, জ্যোতিষীর দরবারে, মন্দির, মসজিদ, গির্জায় । বাস্তবে অন্ধকার আরও ঘনীভূত হয় । আমরা অবসাদে ভুগতে থাকি । এই দুঃসময়ে নিজেকে কিছু প্রশ্ন করা উচিত । আমি কে? জন্মতারিখের আগে আমি কোথায় ছিলাম? মৃত্যুতারিখের পর কোথায় যাব? কেন এই পৃথিবীতে জন্মালাম? আমার মনুষ্যজন্মের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? সব প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাব না । তবু বুঝতে পারব যে আমাদের মধ্যে নতুন আলো জ্বলে উঠছে, আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থপরতার অন্ধকার ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে । আমরা সাধারণ মানুষ থেকে মানব হয়ে উঠছি । আর যে নিজেই আলোর উৎস হয়ে ওঠে, তার সামনে কোন অন্ধকার থাকতে পারে কী!" সন্দীপ গোস্বামী
"অনেকে বলেন অর্থাভাবে ভালোবাসা খিড়কি দিয়ে পালিয়ে যায়। অনেকে বলেন ভালোবাসার জন্য মনের মিল চাই, বিশ্বাস চাই, আরও কত কিছু....আমি বুঝি ভালোবাসার জন্য শুধু এক বুক বিশুদ্ধ ভালোবাসা চাই। এই ভালোবাসায় একজন নয়, দুইজন নয়, একসাথে সমগ্র জগৎকে ভালোবাসা যায়।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষদের মধ্যে সরলতা, মহানুভবতার সাথে গোপন অহংকারও থাকে । সেই অহংকার এই ধরণের মানুষদের প্রধান চালিকাশক্তি । অনেক সময় তাঁদের এই অহংকারকে ভুল বুঝে আমরা আহত হয়ে থাকি । তবু একজন সৎমানুষের মৃত্যু হাজার ক্রীড়াবিদ, অভিনেতা, প্রশাসক, লেখকের মতো গুণীজনদের মৃত্যু থেকে সমাজের গভীরে বেশি ক্ষত সৃষ্টি করে । সততার সাধনায় প্রতিভা নয়, চাই তীব্র ইচ্ছাশক্তি । আমরা ইচ্ছা করলেই সৎমানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে পারি ।" সন্দীপ গোস্বামী
"জীবের রক্তহীনতার ক্ষেত্রে পুনরায় রক্ত দিলে সেই জীব সুস্থ হয়ে ওঠে। চক্ষু ট্রান্সমিশন, হার্ট ট্রান্সমিশন প্রভৃতি কার্যের মাধ্যমে দেহ যন্ত্রের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দেহ যন্ত্রকে চালু করা যায়। এটি জড় বিজ্ঞানের সম্মানযোগ্য গবেষণা। এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাছে ধর্মবিজ্ঞানীদের মাথা নিচু করলে কোন অসম্মান হয়না। এইসব চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা মনুষ্যরূপী দেবতা। তবু আমরা দেখি, জড় বিজ্ঞান মৃত্যু কেন হয়? ব্যাখ্যা করতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায়! চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হতভম্ব হয়ে যাচ্ছেন, যখন একটি জীবের মৃত্যু ঘটছে। এই মৃত্যু ঘটলে আর ঐ মৃতদেহ কোনভাবে জীবিত করা যায়না। সমস্ত গবেষণা 'The End' এই শব্দের সামনে থমকে দাঁড়ায়!" সন্দীপ গোস্বামী, সর্বজনীন সংবিধান"ভালবাসতে লাগে হৃদয়, ভালোবাসা পেতে লাগে ভাগ্য। অথচ চিরকাল হৃদয়বান মানুষেরা দুর্ভাগ্যের শিকার হয়। প্রকৃতির কী নির্মম পরিহাস!" সন্দীপ গোস্বামী
"ব্যার্থতাকে যে অজুহাতের সাথে মেনে নেয়, সে বালক। ব্যার্থতা যার মধ্যে তীব্র অবসাদের সৃষ্টি করে, সে কাপুরষ। যিনি ব্যার্থতাকে সফলতায়, পরাজয়কে বিজয়ে এবং ঘৃণাকে ভালবাসায় পরিবর্তিত করতে পারেন, তিনি পুরুষ। আবার যে পুরুষের পৌরষবোধ যুগ যুগ ধরে মানুষের প্রেরণা হয়ে ওঠে, তিনি মহাপুরুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিকার এবং শিকারীর ছলাকলার মধ্যে লুকিয়ে থাকে উভয়ের অস্তিত্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের পরিণতি মর্মান্তিক!" সন্দীপ গোস্বামী
"বিশুদ্ধ মস্তিষ্ক না থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না । আহত হৃদয় না থাকলে শ্রীচৈতন্যের মহাপ্রেম স্পর্শ করা যায় না ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সৎমানুষ বলতে আমরা বুঝি, নিরীহ নিপাট শান্তিপ্রিয় ভদ্র মানুষ । বুদ্ধিমান, কর্মঠ, প্রতিবাদী মানুষ দেখলে আমাদের অস্বস্তি বাড়তে থাকে । অথচ এটি সত্য যে, এই পৃথিবীতে সৎমানুষের থেকে বুদ্ধিমান কেউ হতে পারে না । সৎমানুষেরা জানেন যে, অসৎ পথে কত ধরণের বিপদ, সর্বনাশ আছে । তাই তাঁরা বুদ্ধিমত্তার সাথে অসৎ পথ পরিত্যাগ করেছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ভালোবাসা কখনও ব্যর্থ হয় না, ভালোবাসাহীন জগৎসংসার ব্যর্থ হয়ে যায় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"ডিসকভারি চ্যানেল দেখতে দেখতে ভাবছিলাম যে পাখিগুলি কী সুন্দর, বর্ণময়! হরিণ, বাঘ, এমনকি সাপগুলিও কী সুন্দর, রঙের কী বিচিত্র অপূর্ব সমাবেশ! মানুষগুলি কেন বর্ণহীন! ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট! তাই রঙিন পোশাকে নিজেদের বর্ণময় করে তুলেছে । তবে সবাই যে বলে, মানুষ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আসলে পাখি, হরিণ, বাঘ, সাপ হাসলে কি ভালোলাগে! মানুষের হাসিমুখের কোনও তুলনা নেই! রঙিন আভা ছড়ায়, বর্ণময় হয়ে ওঠে! বহিরঙ্গ নয় মানুষের অন্তরে রঙ আছে, তাই সে প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি! হাসিমুখের মানুষ দুনিয়ায় সবচেয়ে সুন্দর, বর্ণময় ।" সন্দীপ গোস্বামী
"শিশুর মধ্যে যে গুণ আমায় আকর্ষণ করে, তা হোল সরলতা । নারীর নমনীয়তা, পুরুষের উদারতা, বৃক্ষের স্নিগ্ধতা, জীবজগতের প্রাণবন্ত উপস্থিতি এবং রাতের তারাভরা আকাশ আমায় আকর্ষণ করে । এর মধ্যে ঈশ্বরকে দেখতে পাই । স্পষ্ট বুঝতে পারি, তিনি আমাদের সাথে আছেন, ভালোবাসেন, আমাদের আনন্দ উপভোগ করছেন ।" সন্দীপ গোস্বামী, তিনশো সন্দীপনী ও পথ
"সব ধর্মের মূল কথা হল, জগতকে ভালোবাস এবং জগত থেকে ভালোবাসা গ্রহণ কর। এই সরল সত্যকে যারা বুঝতে পারেনা, তারা ধর্মহীন জটিল প্রকৃতির মানুষ।" সন্দীপ গোস্বামী
"সমগ্র জগৎসংসার সনাতনধর্মের অন্তর্গত। তাই এই চিরন্তন ধর্ম কোনোপ্রকার সাম্প্রদায়িকতা এবং বিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয় না। এটাই এই ধর্মের মহত্ব। " সন্দীপ গোস্বামী
"বিজ্ঞানভিত্তিক ধর্মকে আধ্যাত্মিকতা বলা যায়। বিজ্ঞানের আলোয় আলোকিত সনাতনধর্মের গভীরতায় সেই আধ্যাত্মিক বিজ্ঞানকে আত্মস্থ করা যায়। যা আচার-বিচার, নীতিকথা, সংস্কার প্রভৃতি থেকে সম্পুর্ন আলাদা এবং উপর তলার বিষয়। " সন্দীপ গোস্বামী




.webp)





.webp)





























